সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করেছেন দেশটির হাইকোর্ট। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়ার এক মাস না পেরোতেই সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দিলেন লাহোর হাইকোর্ট।

আদালতের এ আদেশের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ইশতিয়াক এ. খান বলেন, ‘অভিযোগ গঠন, আদালত স্থাপন থেকে শুরু করে কৌঁসুলি টিম নিয়োগ পর্যন্ত সবই অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে…সর্বোপরি পুরো আদেশই বাতিল হয়ে গেছে আদালতে।’

এ কৌঁসুলি বলেন, ‘তিনি (পারভেজ মোশাররফ) এখন মুক্ত। এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে আর কোনো দণ্ডাদেশ নেই।’

এখন রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনসাপেক্ষে মোশাররফের বিরুদ্ধে ফের মামলা করতে পারে।

পারভেজ মোশাররফ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তিনি দেশটির সংবিধান বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তারপর বিক্ষোভ শুরু হলে অভিশংসনের ঝুঁকি এড়াতে ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন মোশাররফ।

সংবিধান বাতিলের কারণে ২০১৩ সালে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে মুসলিম লিগ ক্ষমতায় থাকাকালে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এই মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ গত ১৭ ডিসেম্বর   মোশাররফের মৃত্যুদন্ড ঘষোনা করেন। রায় ঘোষণার বহু আগে থেকে মোশাররফ বিদেশে আছেন। তিনি বর্তমানে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হলে সেদিনই বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের সমরিক বাহিনী মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডকে সশস্ত্র বাহিনীর পদমর্যাদার জন্য ‘বিরাট এক বেদনা ও প্রচণ্ড কষ্টকর ব্যাপার’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একজন সাবেক সেনাপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের কমিটির চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশের হয়ে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।’

সামরিক বাহিনীর ওই বিবৃতির পর  মৃত্যুদণ্ড চ্যলেঞ্জ করে লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেন পারভেজ মোশাররফ। এরপর ইমরান খানের  সরকারও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পারভেজ মোশাররফের ফাঁসির রায় দেয়া বিশেষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রধানকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেন দেশটির আইনমন্ত্রী ফারুগ নাশিম।

এমনসব নাটকীয়তার পর সোমবার লাহোর হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এ আদেশ এলো।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com